মানসিক চাপ দৈনন্দিন জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। কিন্তু এর থেকে মুক্ত থাকতে পারলে আমাদের সুস্থতার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার আটটি উপায় রয়েছে।
জেনে নেই আর টি উপায় কি কি?
১.ধ্যান:
ধ্যান মানসিক চাপ থেকে বেঁচে থাকার বড় একটি উপায়। এর মাধ্যমে আপনি মানসিক চাপ ভুলে নির্বিঘ্নে কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন। জামা ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিনের প্রকাশিত এক গবেষণার মতে, ধ্যান মানসিক চাপের কারণগুলো থেকে আপনাকে বের করে আনতে পারবে।
২.ব্যায়াম :
মানসিক চাপ থেকে বাঁচতে ব্যায়াম একটি প্রাকৃতিক উপায়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও কেমিক্যাল বৃদ্ধি পায়। এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক ব্যথানাশক।এর মাধ্যমে মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়। দৌড়ানো বা জগিং, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, সিঁড়ি আরোহন ও হাঁটতে পারলে মানসিক চাপ অনেকাংশেই কমতে পারে।
৩.প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকা:
প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। আপনি যেকোনো পার্কে ২০ মিনিট সময় কাটিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন। প্রকৃতিতে হাঁটার ফলে শরীরে কটিসল হরমোনের মাত্রা কমতে পারে।
৪.সুষম খাবার গ্রহণ :
একটি সুষম খাবার মানুষের চাপ মোকাবেলা করতে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে। মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টি এবং ফল ও শাকসবজিতে পাওয়া এন্টিঅক্সিডেন্ট চাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করতে পারে।
৫.শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম :
গভীর শ্বাস -প্রশ্বাসের ব্যায়াম শরীরকে আরাম দেয়। প্রতিদিন কয়েক মিনিট এই ব্যায়াম করলে আপনি অনেক কঠিন রোগ থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।এছাড়া এটি আপনার স্নায়ুতন্ত্র কে সক্রিয় রাখবে। সাইকো ফিজিওলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং প্রশান্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৬.অ্যারোমাথেরাপি :
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অ্যারোমাথেরাপি অনেক উপকারী। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্ভিদের নির্যাস ও সুগন্ধিযুক্ত তেল ব্যবহার করে এ থেরাটি দেওয়া হয়।লেভেন্ডার, ক্যামোমাইল ও গোলাপের মতো সুগন্ধিযুক্ততে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনকে ভালো রাখতে পারে।
৭.জার্নাল রাখুন :
মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখলে একটি জার্নাল সঙ্গে রাখতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার মানসিক চাপের ধরন সম্পর্কে জানতে পারবেন। সে অনুযায়ী নিজের মানসিক চাপ কেউ মোকাবেলা করতে পারবেন।
৮.পরামর্শ নেওয়া :
মানসিক চাপ যদি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে তবে থেরাপিস্ট বা সাইকোলজিস্টের এর পরামর্শ নিতে পারেন। তারা আপনার অবস্থা বুঝে পরামর্শ দিবেন। এটি অনেক কার্যকর একটি উপায়।