ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে করা নিয়মে থাকতে হবে। কারণ অনিয়ম হলে বিপদ বাড়তে পারে।
স্বল্প পরিমাণে বারে বারে খাবার খাওয়া :
অল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে। কিন্তু বারে বারে খেতে হবে। অর্থাৎ একেবারে কখনোই অনেকটা খাবার খাবেন না। বরং দিনে বহুবার, অন্তত ৬ বার খাবার খেতে পারেন। কিন্তু পরিমাণে অল্প। অল্প পরিমাণে বারবার খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কি কি খাওয়া যাবেনা :
কোল ড্রিঙ্ক বা সোডা জাতীয় পানীয় না খেয়ে স্বাস্থ্যকর পানীয় অর্থাৎ হেলদি ড্রিংক যেমন ডাবের পানি, ফলের রস, ঘরে তৈরি করা স্মুদি,লো ফ্যাট যুক্ত লসি্্য এসব খেতে পারে। তার সাথে যুক্ত করতে পারেন দইয়ের শরবত।কোলড্রিংস বা সোডার মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিক।
নিয়মিত শরীর চর্চা :
ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত শরীর চর্চা করা খুবই প্রয়োজন। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে নয় বরং রোজ হালকা কিছু এক্সারসাইজ করুন। নিয়মিত হাটার অভ্যাস রাখতে পারেন। এছাড়া সাইক্লিং,সুইমিং, জগিং, ধরনের সব আপনার শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
পরিমাণ মতো পানি পান করা :
শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হলে পরিমাণ মতো পানি পান করা প্রয়োজন। তাই বলে একসঙ্গে অনেকটা পানি পান করা যাবে না। বোতলের পরিবর্তে গ্লাসে মেপে পানি পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ঠান্ডা পানি পান না করাই ভালো। হাঁটাচলা করার সময় পানি পান না করে স্থির হয়ে বসে পানি পান করা উচিত। শরীর হাইড্রেট থাকলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সুষম আহার :
ডায়েটে যেন কোন কিছুর ঘাটতি না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া বেশি করে ফল খেতে পারেন। ডায়েটে আরও অ্যাড করতে পারেন তাজা টাটকা শাকসবজি। এসব খাবার খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবে না। আর সুষম আহার করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার।