অস্বস্তিকর সমস্যার কথা বললে শুরুতেই আসবে মুখের দুর্গন্ধের কথা। নিজের জন্য তো বটেই, আশেপাশের মানুষেরও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এটি। দাঁতে জমা রোগ জীবাণুই মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে এটি হতে পারে।
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণগুলো :
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করা। এর ফলে দাঁতের গোড়া,মাড়ি ও মুখের কোনয় খাদ্যকণা লেগে থেকে যায়। আর মুখে বাসা বাঁধে ব্যাকটেরিয়া। এগুলো মুখে জমে থাকা খাবারগুলো পচিয়ে ফেলে, গলিয়ে দেয়। পরিনামে মুখে জমে রূপ জীবাণু এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়।
খাবার ঠিক মতো হজম না হওয়া, সময় মেনে না খাওয়া, রাতে জেগে থাকা, পরিমাণ মতো পানি না খাওয়া, পান, সুপারি, জর্দা বা তামাক পাতা খাওয়া। এই অভ্যাসগুলোর জন্য মুখে দুর্গন্ধ হয়। যে কোন মাদকদ্রব্য দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন দাঁত, দাঁতের মাড়িও দুর্বল হয়ে যায়। ফলে নানা রূপ জীবাণু আক্রমণ করে। পরিণামের মুখে বাজে গন্ধ হয়। মানহীন প্রসাধনী থেকেও মুখে গন্ধ হতে পারে। ঠিকমতো ঠোঁটের মেকআপ না উঠালে, প্রসাধনী জমে ঠোঁটের কোনায় রোগ জীবাণু বাসা বাঁধে, এতে গন্ধ ছড়াবে।
ব্রাশ ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে বা অনেকদিন ধরে একই ব্রাশ ব্যবহার করলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
সতেজ শ্বাসের জন্য
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। তৈলাক্ত, চর্বি জাতীয় খাবার, মিষ্টি খাওয়ার পরে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। মাউথ ওয়াশ বা গরম পানিতে লবন মিশে মাঝে মাঝে কুলি করলে মুখের রোগ জীবাণু গুলো মরে যাবে।
দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। নিয়মিত জিহ্বাও পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করতে হবে। তবে যদি কিডনির সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি খেতে হবে। সম্ভব হলে বছরে একবার বা দুবা দাঁতের স্কেলিং করাতে হবে।
ঠোঁটের প্রসাধনী ঠিকমতো পরিষ্কার করতে হবে। মুখে বাঁধানো দাঁত থাকলে তার যত্ন নিতে হবে। দাঁত বা মাড়ির কোন অসুখে অবহেলা করবেন না। কারণ বাড়ির সমস্যার কারণেও অনেক সময় দুর্গন্ধ হতে পারে মুখে। তাই এই সমস্যায় কোন অবহেলা করা ঠিক নয়। সঠিক সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সাদা রঙের টুথপেস্ট এর ফ্লোরাইড থাকেপ্রচুর পরিমাণে। এ ধরনের টুথপেস্ট তাদের জন্য বিশেষ উপযোগী।এগুলো ব্যবহার করাই ভালো। যেকোনো ধরনের মাদক দ্রব্য পরিহার করতে হবে।